কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন কোমরে ব্যথার কারন হল কর্ম স্থানে বসে থাকলে কমরব্যথা হতে পারে । কোমর ব্যথা বাশি ভাগ দেখা যাই ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। পুরুষ এর তুলনাই নারীদের বেশি হয়ে থাকে। কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি পুরো পড়ুন
কোমর ব্যথা দূর করার উপায় এক বালতি সামান্য গরম পানিতে কিছু ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মিশাতে হবে । তারপর এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি পিঠের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি স্নায়ু ভালো করতেও সহায়তা করে।
ভূমিকা
কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে কিছু কথা বলা হলো আমাদের চারপাশে লক্ষ করলে দেখলে পাবেন যে কোমরে ব্যথায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এতই কমর ব্যাথা যে ঠিক মতো বসে থাকা যাই না । এজন্য কোমরে ব্য়থা থাকলে তা শরীরে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সমস্যা।
কোমর ব্যথার কারণ সমূহ
- ১. পেট ও তল পেটের মধ্যকার বিভিন্ন জাইগার সমস্যার জন্য মাজা ব্যথা হয়। একে রেফার্ড পেইন বলে।
- ২. পেশি, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মধ্য খানে থাকে) ও স্নায়ুর বা ইনজুরি।
- ৩. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে কোমর ব্যথা হতে পারে ।
- ৪. হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভকে ইরিটেশন করেন। ২০ বছরের উর্ধ্বে এক-তৃতীয়াংশ লোকের হারনিয়াটেড ডিস্ক থাকে। ৩% লোকের নার্ভ ইরিটেশনের জন্য কোমর ব্যথা হয়।
- ৫.মোটর সাইকেল বা গারি ড্রাইভিং করার সময় ।
- ৬. বাশি চেয়ারে বসে থাকলে হতে পারে।
- ৭.স্পোনডাইলোসিস।
- ৮. ওপর হয়ে শুয়ে বই পড়লে।
- ৯. স্পোনডাইলাইটিস।
- ১০. স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া।
- ১১. স্পোনডাইলিসথেসিস।
- ১২. আর্থ্রাইটিস।
- ১৩. হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা।
- ১৪. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া।
- ১৫. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়।
- ১৬. ফাইব্রোমায়ালজিয়া।
- ১৭. হঠাৎ করে হাঁচি, কাশি দিয়েছেন জন্য স্ট্রেইন করেছেন।
- ১৮. সামনে ঝুঁকে বা পার্শ্বে কাত হয়ে কিছু তুলতে চেষ্টা করেছেন।
- ১৯. হাড়ের ইনফেকশন।
- ২০. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)।
- ২১. হাড় ও স্নায়ুর টিউমার।
- ২২. যে কোন কারণে অতিরিক্ত চিন্তাগ্রস্ত হলে কোমর ব্যথা হয়।
কোমরে ব্যথার সময় আর যা হয়
প্রথমে কোমরে অল্প ব্যথা থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যথাটা বাড়তে থাকে। অনেক সময় হয়তো রোগী চলা ফেরা করতে পারে না।
ব্যথা কখনও কখনও কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। পা ঝিনঝিন ধরে থাকে।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে।পা অবশ ও ভারী হয়ে থাকে। পায়ের শক্তি কমে যাওয়া।মাংশপেশি মাঝেমধ্যে সংকুচিত হয়ে যায়।
রোগ নির্ণয়
কোমরের কিছু পরীক্ষা রয়েছে। ফরোয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, ব্যাকওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা।নিউরোলজিক্যাল ডিফিসিয়েন্সি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয় ।কোমরের এক্স-রে এবং এমআরআই করতে হবে।রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা হয়। ।ক্যালসিয়ামের পরীক্ষা, ইউরিক এসিডের পরিমাণ, শরীরে বাত আছে কি না—এসব পরীক্ষা করতে হয়।ক্রনিক ব্যাক পেনের ক্ষেত্রে এইচএলএবি-২৭ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
নন-স্পেসিফিক লো বেক পেন
অনির্দিষ্ট কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে এই ব্যথা হয়। এটি যুবকদের মধ্যে বেশি হয়। এই ব্যথা পুরোপুরি সারানোর চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই ব্যথা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়। যেমন : শিরদাঁড়ায় টিউমার ও ইনফেকশন হলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। মাংসপেশি শক্ত হয়ে গেলে বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে কোমরে ব্যথা হয়। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও কোমরে ব্যথা হয়। একটানা হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, কোলে কিছু বহন করলেও কোমরে ব্যথা হতে পারে।
চিকিৎসা
হালকা ব্যথা হলে ওষুধ এবং পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।তীব্র ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি থেকে ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তিন-চার সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখা হতে পারে ।আর যদি কম ব্যথা হয় আউটডোর ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয় ।
অনেকেই কোমর ব্যথা হলে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলে। এটা একেবারে ঠিক নয়। বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।
শেষ মন্তব্যঃ কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেল আগে পড়ে নিতে হবে।এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url